
মোঃ শহিদুল ইসলাম
পঞ্চগড় প্রতিনিধি
পঞ্চগড়ের বোদা উপজেলার কালিয়াগঞ্জ ইউনিয়নের ভারতীয় তিনটি সীমান্ত পথে নারী শিশুসহ ১১ জনকে পুশ ইন করেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)।
শুক্রবার রাত্র আনুমানিক ২:০০টার দিকে নীলফামারী ৫৬ বিজিবি আওতাধীন ওই ইউনিয়নের ভারতীয় সীমান্তের ৭৭৪ ও ৭৭৫ এলাকা দিয়ে তাদের পুশ ইন করা হয়। খবর পেয়ে ডানাকাটা ক্যাম্পের বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে এবং শনিবার বিকেলে তাদের বোদা থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটককৃতরা হলেন, নড়াইল জেলার নিলুফা (৪০), যশোর জেলার সাজিদা (৪০), সাতক্ষীরার মর্জিনা (৫০) ও তাসলিমা বেগম, নোয়াখালীর ওমর ফারুক (৩৭), নরসিংদীর মোছা. তানিয়া (৩৫), নারায়ণগঞ্জের শাহনাজ (৩৪) ও মীম আক্তার (২২), খুলনার মোছা. আলেয়া বেগম (৭০), মুন্সিগঞ্জের জাহিদুল ইসলাম (৪০) এবং ফাইজান শেখ (১০)। ওই আটককৃতদের দেওয়া তথ্য মতে, তাদের বাড়ী বাংলাদেশের সাতক্ষীরা, নরসিংদী, মুন্সিগঞ্জ, খুলনাসহ বিভিন্ন জেলায় এবং তারা কাজের সন্ধানে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেন বলে জানায় পুলিশ।
অন্যদিকে বিজিবি, পুলিশ ও সীমান্তের লোকজন জানান, শুক্রবার গভীর রাতে ওই সীমান্তের মেইন পিলার ৭৭৪ ও ৭৭৫ এলাকার নাউতারী, প্রধান পাড়া ও ধামের ঘাট সীমান্ত দিয়ে তাদের বাংলাদেশের অভ্যন্তরে পুশ করে বিএসএফ এবং রাতে তারা সীমান্তবর্তী এলাকার একটি বাড়ীতে আশ্রয় নেন।
পুলিশ এবং বিজেবি তাদের গতিবিধি দেখে সন্দেহ হলে বিএসএফকে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ডানা কাটা বিওপির বিজিবি সদস্যরা তাদের আটক করে থানায় হস্তান্তর করে।
আটকরাকৃতরা জানান যে, আমরা বাংলাদেশী নাগরিক। এছাড়া শিশু ফাইজান শেখের (১০) জন্ম ভারতেই তার বাবাও বাংলাদেশী এবং সেখানে বিয়ে করে সংসার করছিলেন। তারা দীর্ঘদিন যাবত ভারতের অভ্যন্তরে অবৈধভাবে অবস্থান করে তারা কাজ করে আসছিলো গত ২ মে তাদেরকে ভারতের বোম্বে থেকে আটক করে ভারতীয় পুলিশ এবং ১৭ মে-২০২৫খ্রী. পর্যন্ত তাদের পুলিশী হেফাজতে রেখে বিমান যোগে শিলিগুড়ি বিমান বন্দরে পৌঁছে দেয়।
সেই দলে মোট ১২৫ জন বাংলাদেশী নাগরিক ছিলেন বলে তারা জানান পরে তাদের মধ্য থেকে এই ১১ জনকে পঞ্চগড়ের ওই সীমান্ত দিয়ে পুশইন করা হয়।
বোদা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজিম উদ্দিন বলেন, রাতে ভারতীয় সীমান্ত দিয়ে এক শিশুসহ ১১ জনকে পুশ ইন করে বিএসএফ বিকেলে এক শিশু, দুইজন পুরুষ ও আট জন নারীকে থানায় হস্তান্তর করেছে বিজিবি। এ ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে এবং আইনগত প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে হস্তান্তর করা হবে এবং ঘটনার বিষয় বিজিবির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, তদন্ত শেষে সকল ধরনের আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হবে বলে জানান বোদা থানার অফিসার ইনচার্জ।