সরাইলে ধর্ষণ শেষে স্কুল শিক্ষার্থীকে হত্যা, ইমাম-মোয়াজ্জিন গ্রেপ্তার
মাহমুদুল হাসান
বার্তা সম্পাদকঃ
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার সরাইলে নিখোঁজের ১ দিন পর ময়না আক্তার-(৯) নামে এক শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গত রোববার সকালে উপজেলার শাহবাজপুর ইউনিয়নের হাবলিপাড়ার একটি মসজিদের দ্বিতীয় তলা থেকে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়।
নিহত ময়না আক্তার শাহবাজপুর ইউনিয়নের ছন্দু মিয়া পাড়ার বাহরাইন প্রবাসী আবদুর রাজ্জাকের মেয়ে। সে স্থানীয় লতিফ মোস্তারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেনীর ছাত্রী ও স্থানীয় একটি মাদরাসার নূরানী বিভাগে পড়াশুনা করতো। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের ধারনা ওই শিশুকে ধর্ষন শেষে হত্যা করা হয়েছে।
এ ঘটনায় নিহত ময়নার মা মোসাঃ লিফা আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে সরাইল থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ এ ঘটনায় মসজিদের ইমাম হামিদুর রহমান-(৩৫) ও মোয়াজ্জিন সাইদুল ইসলাম-(২৫) কে গ্রেপ্তার করেছে।
নিহতের পরিবার জানায়, শনিবার দুপুরে সহপাঠীদের সাথে খেলাধূলা করার জন্য বাড়ি থেকে বের হয় ময়না। পরে আর বাড়ি ফিরেনি। বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করার পর পরিবারের পক্ষ থেকে এলাকায় মাইকিং করা হয়।
রোববার সকালে শিশুরা হাবলিপাড়া জামে মসজিদে গেলে দ্বিতীয়তলায় ময়নার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পায়। পরে মসজিদের ঈমাম ময়নার মাকে খবর দেয়। পরে গ্রামবাসী মসজিদে গিয়ে ময়নার বিবস্ত্র ও গলায় কাপড় পেছানো অবস্থায় লাশ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ, পিবিআই ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে লাশ উদ্ধার করে। পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ময়নাকে ধর্ষণ শেষে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে।
এ ব্যাপারে সরাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদুল আলম বলেন, পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে ময়না আক্তারকে ধর্ষনের পর হত্যা করা হয়েছে বলে ধারনা করা হচ্ছে।
এ ঘটনায় নিহত ময়নার মা মোসাঃ লিফা আক্তার বাদী হয়ে গত রোববার রাতে অজ্ঞাতনামা আসামীদের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এ ঘটনায় মসজিদের ইমাম হামিদুর রহমান-(৩৫) ও মোয়াজ্জিন সাইদুল ইসলাম-(২৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমরা নিহতের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
মন্তব্য করুন