ইউরোপ পাঠানোর নাম করে এক কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসা। প্রতারক চক্রের দেশ ত্যাগের চেষ্টা

ছাদিকুর রহমান (সাব্বির)
সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান

বিদেশ পাঠানোর নাম করে ৯ জনের নিকট থেকে ১ কোটি ২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করেছে এক প্রতারক চক্র। ভিটে মাটি বিক্রি করে কানাডা, আমেরিকা ও ইউরোপ যাওয়া স্বপ্ন দেখে নিঃস্ব হয়ে দিশাহারা ভোক্তভুগীরা। শুধু নিঃস্ব নয় প্রতারক চক্র তাদের পাসপোর্ট আটকে রাখায় পড়েছেন বিপাকে। এর মধ্যে ৩ জনের পাসপোর্টে সৌদী আরবের ভিসা লাগানো আছে বলে অভিয়োগ রয়েছে। এব্যাপারে প্রতারক চক্রের দেওয়া ডকুমেন্ট দিয়ে আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছেন প্রতারিত ব্যক্তিরা। প্রতারক চক্রের চুক্তি পত্র থেকে

জানাযায়, সিলেট দক্ষিন সুরমা থানার কামুসেনা গ্রামের ফাতেমা আক্তার জেসমিন তার স্বামী সিলেট মোহাম্মদপুর এলাকার কবির আহমদ রুকন, পিতা সামসুল আলী, মা রিনা বেগম ও তাহার মামা মৌলভীবাজার শাহবন্দর এলাকার নহেল আহমদ পরিকল্পিত ভাবে নিজ আত্মীয় স্বজনকে কানাডা, আমেরিকা ও ইউরোপের ওয়ার্ক পারমিট বিসা করে দেওয়ার কথা বলে মৌলভীবাজারের সাকের আহমদ, রাহিন আহমদ, সাহিম আহমদ, শাহীন মিয়া, আব্দুল মালিক, সাহেদ মিয়া, সুনামগঞ্জের বাবুল মিয়া, সুরুক মিয়ার

নিকট থেকে চক্রটি ১ কোটি ২০ লাখ টাকা সহ তাদের পাসপোর্ট তাদের নিকট নিয়ে নেয়। পরে ভিসা করতে না পেরে নানা টালবাহানা করে বিভিন্ন ব্যাংকের চেক দিয়ে সময়ক্ষেপণ করতে থাকে। আর এদিকে চক্রের সকল সদস্য বিদেশ ফাঁড়ি দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে গুঞ্জন উঠেছে। এদিকে পাসপোর্ট ফেরৎ দিচ্ছেনা প্রতারক চক্রটি। বিপাকে পড়েছেন সুরুক মিয়ার পরিবার। তার পরিবারের ৩ টি পাসপোর্টে সৌদী আরবের ভিসা লাগনো রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সৌদী আরবে প্রবেশ করতে না পারলে তার সব স্বপ্ন মাটির সাথে মিশে যাবে বলে সুরুক মিয়ার অভিযোগ। ভোক্তভুগীরা বলেন, প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে আমরা সর্বস্ব হারিয়েছি। সাথে আমাদের পাসপোর্ট গুলো ফেরৎ দিচ্ছেনা প্রতারক চক্র। আমরা তাদের উপর আইনি পদক্ষেপ নিচ্ছি। আমরা তাদের কঠিন শাস্তির দাবী জানাচ্ছি। আর যেন কারও সাথে এমন কাজ করতে না পারে