সেনা কর্মকর্তা সেজে একাধিক বিয়ে ও প্রতারণা, অবশেষে পুলিশের জালে ‘মেজর সোহেল’
তরিকুল ইসলাম
ক্রাইম রিপোর্টার | দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি
বরিশাল প্রতিনিধি
পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় সেনা কর্মকর্তার ছদ্মবেশ ধারণ করে একাধিক বিয়ে ও চাকরি দেওয়ার নাম করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মো. সোহেল হাওলাদার (২৫+) নামে এক প্রতারক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) দুপুরে উপজেলার বকসীর ঘটিচোরা গ্রামে শ্বশুরবাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক সোহেল পটুয়াখালী সদর উপজেলার বাদেরপুর গ্রামের বাসিন্দা, তার পিতার নাম আব্দুল বারেক হাওলাদার।
থানা সূত্রে জানা গেছে, সোহেল সেনাবাহিনীর মেজর ও ডিজিএফআই কর্মকর্তার পরিচয়ে স্থানীয়ভাবে চলাফেরা করতেন। তার ব্যবহৃত মোটরসাইকেলেও সেনাবাহিনীর লোগো ছিল, যা দিয়ে সহজেই সাধারণ মানুষের কাছে বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতেন।
প্রায় পাঁচ মাস আগে মঠবাড়িয়ার গুলিশাখালী গ্রামের মৃত সেলিম হাওলাদারের মেয়ে ফারজানা আক্তার (২৩)-কে সেনা কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিয়ে করেন সোহেল। এরপর বকসীর ঘটিচোরা গ্রামে আরও এক বিয়ে করেন, যা তার দ্বিতীয় বিয়ে বলে জানা গেছে।
সম্প্রতি সবুজ নগর গ্রামের গৃহবধূ হাসি রানী দাসের স্বামী হৃদয় দাসকে সরকারি চাকরি পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে সোহেল ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। প্রথম দফায় হাসি রানী ১৫ হাজার টাকা প্রদান করলেও, সময় গড়াতে থাকলে সোহেলের কথাবার্তায় সন্দেহ তৈরি হয়। পরে এলাকাবাসীর মধ্যে বিষয়টি জানাজানি হয়।
জানা যায়, সোহেল শুধু একজন বা দুইজন নয়, এমন প্রতারণার মাধ্যমে আরও ৬-৭ জনের কাছ থেকেও লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এসব ঘটনায় প্রতারণার শিকার গৃহবধূ হাসি রানী দাস থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।
অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত করে সোহেলকে আটক করে। বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মঠবাড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল মামুন। তিনি জানান, “আটক যুবক সেনাবাহিনী কিংবা ডিজিএফআইয়ের কোনো সদস্য নয় বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে। ভুক্তভোগীর মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে।”
মন্তব্য করুন