ঢাকা ০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ২৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
রোকেয়া দিবসের মেলা কমিটিতে অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে কৃষক দলের নাম ব্যবহার করে বিতর্ক চলছে জনসাধারণের দাবি। মাগুরায় মাশরুম চাষির বাড়িতে ঢাকার অতিরিক্ত সচিব পরিদর্শন  অনৈতিক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে রানাপাশা ইউনিয়ন জামায়াত সভাপতির পদ স্থগিত ও বহিষ্কার দিনাজপুরে সাংবাদিকদের সাথে নবাগত পুলিশ সুপারের মতবিনিময় মাগুরায় একই রাতে দুই সরকারি কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ, তদন্তে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী মাগুরা শ্রীপুরে আন্তর্জাতিক প্রতিবন্ধী দিবস ও আলোচনা সভা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা  দক্ষিণ সুন্দরপুর পাঁচপুকুরিয়া ইসলামিয়া গাউছিয়া নূরানী হ হেফজখান ও এতিমখানা মাদ্রাসার উদ্যোগে বার্ষিক মাহফিল অনুষ্ঠিত। মাগুরায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম আন্তঃ  কলেজ ফুটবল টুর্ণামেন্ট উদ্বোধন  পঞ্চগড়ে বার্ষিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস—অভিযুক্ত প্রত্যাশা কোচিং সেন্টারের পরিচালক 

সত্যের আলোয় ফিরে আসি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:২৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫ ৯৫ বার পড়া হয়েছে
দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

সত্যের আলোয় ফিরে আসি

মোঃ আইনুল ইসলাম, বিভাগীয় সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি।

প্রতিবেদন:

সত্য—একটি শব্দ, কিন্তু এর ভেতরে লুকিয়ে আছে সমগ্র মানবতার আলো।
যে জাতি সত্যের পথ হারায়, তারা শুধু নৈতিকতা নয়—সম্মান, আস্থা ও ভবিষ্যৎও হারায়।

আজ আমাদের সমাজে এক অদ্ভুত ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে।
সত্য বলাকে মানুষ বোকামি মনে করে, আর মিথ্যা বলাকে “স্মার্টনেস” বলা হয়।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী—মিথ্যার উপর কখনোই টিকে থাকেনি কোনো সভ্যতা।

সত্য লুকালে বিবেক অন্ধ হয়

আমরা অনেক সময় ভাবি—“একটু মিথ্যা বললে ক্ষতি কী!”
কিন্তু এই ছোট মিথ্যাই ধীরে ধীরে মানুষের বিবেককে অন্ধ করে দেয়।
একজন কর্মচারী মিথ্যা রিপোর্ট দিলে, একজন শিক্ষক মিথ্যা নম্বর দিলে,
একজন ব্যবসায়ী মিথ্যা ওজনে পণ্য বিক্রি করলে—সেই ক্ষুদ্র মিথ্যা মিলেই গড়ে ওঠে এক ভয়াবহ সমাজ-ব্যাধি।

মিথ্যা শুধু কথা নয়,
এটি এক নৈতিক পচন—যা ধীরে ধীরে জাতির আত্মাকে ক্ষয় করে।

সত্যের সাহসই মানুষের প্রকৃত পরিচয়

সত্য বলা সহজ নয়।
সত্য বলা মানে কখনো কখনো নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া,
ভয়, চাপ, লোভ—সব কিছুর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।
তবুও সত্যের মানুষরা ইতিহাসে অমর।

নবী-রাসূলগণ, সাধক-সন্তগণ, মহান নেতা—তাঁরা সবাই সত্যের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
তাঁদের ভাষা ছিল পরিষ্কার, হৃদয় ছিল বিশুদ্ধ।
কারণ, সত্যের মানুষ কখনো ভয় পায় না।

মিথ্যার উপর সমাজ টিকে না

একটি সমাজে যখন মানুষ নিজের সুবিধার জন্য মিথ্যা বলতে শেখে,
তখন আইন দুর্বল হয়ে পড়ে, আস্থা ভেঙে যায়, সম্পর্কগুলো হারায় বিশ্বাসের আলো।
বিবাহ, বন্ধুত্ব, ব্যবসা—সবখানেই ভর করে অবিশ্বাস।
তখন মানুষ মানুষকে আর বিশ্বাস করে না—এটাই মিথ্যার সবচেয়ে বড় শাস্তি।

সত্যকে ভালোবাসার আহ্বান

আসুন, আমরা নিজেদের কাছে ফিরে যাই।
সত্য বলি, সত্যে চলি, সত্যের পক্ষ নিই।
একটি সত্যবাদী মানুষ হাজার মিথ্যাবাদীর চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
সত্যের মানুষ কখনো হারায় না—যদিও সাময়িকভাবে একা থাকে।

আমরা যদি পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে সত্যকে ভিত্তি করি,
তাহলে আমাদের সন্তানরা শিখবে—
“সত্য বলা সাহসের কাজ, আর মিথ্যা লজ্জার।”

শেষ কথা:

সত্যের আলো কখনো নিভে না।
যে ব্যক্তি সত্যে অবিচল থাকে, সে হয় আলোকিত মানুষ—আর সেই মানুষরাই গড়ে তোলে আলোকিত জাতি।

তাই আসুন, সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি—
আমরা মিথ্যার অন্ধকারে নয়, সত্যের আলোয় বাঁচব।
কারণ,
যে জাতি সত্যকে ভালোবাসে, সেই জাতির পতাকা কখনো মাটিতে পড়ে না।

সম্পাদকীয় নোট:

এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণরূপে জনসচেতনতা ও নৈতিক শিক্ষা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রচিত।
এতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের উদ্দেশ্য নেই।
এর একমাত্র লক্ষ্য—অপরাধমুক্ত, সৎ ও নৈতিক বাংলাদেশ গড়ার সামাজিক অঙ্গীকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

সত্যের আলোয় ফিরে আসি

আপডেট সময় : ০৯:২৭:২৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ নভেম্বর ২০২৫

সত্যের আলোয় ফিরে আসি

মোঃ আইনুল ইসলাম, বিভাগীয় সম্পাদক, দুর্নীতি তালাশ নিউজ টিভি।

প্রতিবেদন:

সত্য—একটি শব্দ, কিন্তু এর ভেতরে লুকিয়ে আছে সমগ্র মানবতার আলো।
যে জাতি সত্যের পথ হারায়, তারা শুধু নৈতিকতা নয়—সম্মান, আস্থা ও ভবিষ্যৎও হারায়।

আজ আমাদের সমাজে এক অদ্ভুত ভয়াবহতা দেখা দিয়েছে।
সত্য বলাকে মানুষ বোকামি মনে করে, আর মিথ্যা বলাকে “স্মার্টনেস” বলা হয়।
কিন্তু ইতিহাস সাক্ষী—মিথ্যার উপর কখনোই টিকে থাকেনি কোনো সভ্যতা।

সত্য লুকালে বিবেক অন্ধ হয়

আমরা অনেক সময় ভাবি—“একটু মিথ্যা বললে ক্ষতি কী!”
কিন্তু এই ছোট মিথ্যাই ধীরে ধীরে মানুষের বিবেককে অন্ধ করে দেয়।
একজন কর্মচারী মিথ্যা রিপোর্ট দিলে, একজন শিক্ষক মিথ্যা নম্বর দিলে,
একজন ব্যবসায়ী মিথ্যা ওজনে পণ্য বিক্রি করলে—সেই ক্ষুদ্র মিথ্যা মিলেই গড়ে ওঠে এক ভয়াবহ সমাজ-ব্যাধি।

মিথ্যা শুধু কথা নয়,
এটি এক নৈতিক পচন—যা ধীরে ধীরে জাতির আত্মাকে ক্ষয় করে।

সত্যের সাহসই মানুষের প্রকৃত পরিচয়

সত্য বলা সহজ নয়।
সত্য বলা মানে কখনো কখনো নিজের স্বার্থ বিসর্জন দেওয়া,
ভয়, চাপ, লোভ—সব কিছুর বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।
তবুও সত্যের মানুষরা ইতিহাসে অমর।

নবী-রাসূলগণ, সাধক-সন্তগণ, মহান নেতা—তাঁরা সবাই সত্যের জন্য সংগ্রাম করেছেন।
তাঁদের ভাষা ছিল পরিষ্কার, হৃদয় ছিল বিশুদ্ধ।
কারণ, সত্যের মানুষ কখনো ভয় পায় না।

মিথ্যার উপর সমাজ টিকে না

একটি সমাজে যখন মানুষ নিজের সুবিধার জন্য মিথ্যা বলতে শেখে,
তখন আইন দুর্বল হয়ে পড়ে, আস্থা ভেঙে যায়, সম্পর্কগুলো হারায় বিশ্বাসের আলো।
বিবাহ, বন্ধুত্ব, ব্যবসা—সবখানেই ভর করে অবিশ্বাস।
তখন মানুষ মানুষকে আর বিশ্বাস করে না—এটাই মিথ্যার সবচেয়ে বড় শাস্তি।

সত্যকে ভালোবাসার আহ্বান

আসুন, আমরা নিজেদের কাছে ফিরে যাই।
সত্য বলি, সত্যে চলি, সত্যের পক্ষ নিই।
একটি সত্যবাদী মানুষ হাজার মিথ্যাবাদীর চেয়ে অনেক শক্তিশালী।
সত্যের মানুষ কখনো হারায় না—যদিও সাময়িকভাবে একা থাকে।

আমরা যদি পরিবারে, কর্মক্ষেত্রে, সমাজে সত্যকে ভিত্তি করি,
তাহলে আমাদের সন্তানরা শিখবে—
“সত্য বলা সাহসের কাজ, আর মিথ্যা লজ্জার।”

শেষ কথা:

সত্যের আলো কখনো নিভে না।
যে ব্যক্তি সত্যে অবিচল থাকে, সে হয় আলোকিত মানুষ—আর সেই মানুষরাই গড়ে তোলে আলোকিত জাতি।

তাই আসুন, সবাই মিলে প্রতিজ্ঞা করি—
আমরা মিথ্যার অন্ধকারে নয়, সত্যের আলোয় বাঁচব।
কারণ,
যে জাতি সত্যকে ভালোবাসে, সেই জাতির পতাকা কখনো মাটিতে পড়ে না।

সম্পাদকীয় নোট:

এই প্রতিবেদনটি সম্পূর্ণরূপে জনসচেতনতা ও নৈতিক শিক্ষা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে রচিত।
এতে কোনো ব্যক্তি, প্রতিষ্ঠান বা সরকারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগের উদ্দেশ্য নেই।
এর একমাত্র লক্ষ্য—অপরাধমুক্ত, সৎ ও নৈতিক বাংলাদেশ গড়ার সামাজিক অঙ্গীকার।