মৌলভীবাজারে মৎস্যজীবী দলের পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত
ছাদিকুর রহমান (সাব্বির)
সিলেট বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান।
ফয়জুল করিম ময়ূন: “তালবাহানা আর চলবে না—আবিলম্বে অবাধ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন চাই”
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)–এর সহযোগী সংগঠন মৎস্যজীবী দলের মৌলভীবাজার জেলা আহ্বায়ক কমিটির পরিচিতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শুক্রবার (১ আগস্ট) বিকেলে মৌলভীবাজার পৌরসভার কনফারেন্স রুমে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় সভাপতিত্ব করেন জেলা মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক মো. মুসা মিয়া এবং সঞ্চালনায় ছিলেন সদস্য সচিব জামাল উদ্দিন জীবন।
সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও সাবেক পৌর মেয়র মো. ফয়জুল করিম ময়ূন।
সভায় আরও বক্তব্য রাখেন—
শ্রীমঙ্গল উপজেলার সভাপতি মো. আলী রাকিব, বড়লেখার সভাপতি আব্দুল বাছিত, কুলাউড়ার সভাপতি এমদাদ হোসেন, কমলগঞ্জের সভাপতি কাবিল হোসেন, রাজনগরের সভাপতি মো. ছালিক মিয়া, জুড়ীর সভাপতি আমির হোসেন, সদর উপজেলার সভাপতি ছুরুক আলী, বড়লেখা উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হুদা, শ্রীমঙ্গল উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশীদ, পৌর সাধারণ সম্পাদক কৃপেন্দ্র সরকার কিরণ, যুগ্ম সম্পাদক বেলাল তালুকদার ও পৌর সভাপতি আব্দুস শুকুর।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. ফয়জুল করিম ময়ূন বলেন,
“মৎস্যজীবী দল দীর্ঘদিন অবহেলিত থাকলেও বিগত সরকারবিরোধী আন্দোলনে এ সংগঠন সাহসিকতার সাথে ভূমিকা রেখেছে। আহ্বায়ক মো. মুসা মিয়া সহ অন্তত ১৫-২০ জন নেতা-কর্মী মিথ্যা মামলায় কারাবরণ করেছেন। এমনকি চলমান আন্দোলনের সময় এ সংগঠনের এক কর্মী গুলিবিদ্ধ হন।”
তিনি আরও বলেন,
“ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীদের দিয়েই কমিটি গঠন করতে হবে। দলে কোনো দালাল, সুবিধাবাদী কিংবা হঠাৎ উদয় হওয়া ভুঁইফোড়দের স্থান দেওয়া যাবে না।”
নির্বাচন প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির আহবায়ক বলেন,
“সরকার কথিত ‘সংস্কার’ প্রক্রিয়ার নামে নির্বাচন বিলম্বিত করছে, যা জনগণের অধিকার হরণের শামিল। আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়ে দিচ্ছি— তালবাহানা আর চলবে না। সরকারের উচিত অবিলম্বে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজন করা।”
তিনি আরও বলেন, “এটা শুধু বিএনপির দাবি নয়—এটা আজ গোটা দেশের জনগণের দাবি।
মন্তব্য করুন